Facebook এ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়া হয়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম Facebook কর্মী নিয়োগে একটি বিশেষ নিয়ম মেনে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ। কর্মী নিয়োগের সাক্ষাৎকারের জন্য তিনিই প্রশ্নগুলো তৈরি করেন। তাঁর এই নিয়োগপদ্ধতি নিয়ে জাকারবার্গ বলেন, ‘কর্মী নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে পৃথিবীর সবচেয়ে মেধাবীদেরই নিয়োগ দিতে হবে, এমন কোনো কথা নেই।
তাঁকে আমার আসনে বসে দেখতে হবে, সে কতটা স্বাছন্দ্যের সঙ্গে কাজ করতে পারে। তার মানে এ নয় যে তাঁকে আমার আসনই দিয়ে দেব।’ পাশাপাশি আগ্রহী প্রার্থীদের এমন কোনো নতুন পরিকল্পনার কথা জানাতে হবে, যার মাধ্যমে ফেসবুক লাভবান হবে। না হলে বাদ পড়তে হবে নিয়োগ-প্রক্রিয়া থেকে।
কর্মী নিয়োগে মার্কের এমন সিদ্ধান্তই হয়তো অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে ফেসবুককে আলাদা করেছে।এ ক্ষেত্রে জাকারবার্গ ফেসবুকে শেরিল স্যান্ডবার্গের নিয়োগ-প্রক্রিয়ার উদাহরণও টেনে এনেছেন। তিনি জানান, ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে বড়দিনের এক অনুষ্ঠানে দেখা করে ফেসবুকের বিভিন্ন দিক এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে ঘণ্টাখানেক কথা হয় তাঁদের মধ্যে। এর কয়েক মাস পর জাকারবার্গ সিদ্ধান্তে পৌঁছান যে শেরিল স্যান্ডবার্গকে নিয়োগ দেওয়া যায়। ফেসবুকের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা পদে তাঁকে নিয়োগ দেওয়াটা এখন পর্যন্ত সেরা ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত ছিল বলে মনে করেন মার্ক জাকারবার্গ।
২০০৮ সালে ৪৫০ জন কর্মী এবং প্রায় ২৮ কোটি মার্কিন ডলার রাজস্ব নিয়েও সাড়ে ৫ কোটি ডলারের বেশি লোকসান করে ফেসবুক। আর গত বছরেই ফেসবুকের রাজস্ব আয় ছিল প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলার, কর্মীর সংখ্যা ১৭ হাজারেরও বেশি। ব্যবসায় উন্নতি সাধনের মূলনীতিটা নাকি স্যান্ডবার্গের কাছ থেকেই শিখেছেন জাকারবার্গ, এমনটাই বলেছেন ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
অাপনার মতামত জানাতে চাইলে অবশ্যই কমেন্ট করুন । কেননা অাপনাদের মতামতের উপর নির্ভর করে পরবর্তী পোষ্ট টপিকগুলো নিবার্চন করা হয়।